পাওয়ার ন্যপ
আধুনিক জীবনযাত্রার চাপে ভাতঘুম তো লোপ পেতে বসেছে! ভাতঘুম বিশ্ব-দরবারে সিয়েস্তা বলে বিক্ষ্যাত। ভাতঘুমের স্প্যানিশ নাম সিয়েস্তা। ভাতঘুমের চল রয়েছে আবহমান কাল থেকেই। এতে ক্লান্তি দূর করে নতুন উদ্যমে আবারও কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার শক্তি পাওয়া যায়। শিল্পন্নত দেশগুলিতে মানুষের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে বলে বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত। স্ট্রেস বা সফল হবার জন্য একটানা চাপের কুফল টের পাওয়া যাচ্ছে। তবে কম সময়ের বিশ্রাম অর্থাৎ 'পাওয়ার ন্যাপ' এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। 10 থেকে 20 মিনিটের এমন ঘুম যথেষ্ট। ঘুম প্রতিদিন নিজেদের ক্ষমতার শীর্ষ স্তরে পৌছনোর চাবিকাঠি। নতুন উদ্যম তো বটেই, গবেষকেরা বলছেন দিনের বেলায় একটু ভাতঘুম স্মরনশক্তির সক্ষমতা পাঁচগুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। গবেষকদের পরামর্শ হল শেখা ও মনে রাখার মতো কাজে লাগাতার সময় দেওয়ার পর কিছুক্ষনের জন্য ঘুমিয়ে নিন, এতে আপনার স্মরণশক্তি বাড়বে, আপনি সময়মতো প্রয়োজনীয় তথ্য মনে করতে পারবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই সামান্য ঘুমও হ্রৎস্পন্দনের হার শতকরা 5 ভাগের মতো কমায় এবং কাজে মনোনিবেশের ক্ষমতা বাড়ায় শতকরা 30 ভাগের মতো। প্রয়োজনমতো বিশ্রাম নিলে শরীর ও মন দীর্ঘক্ষণ কাজের ধকল সহ্য করার মতো করে প্রস্তত হয়। ঘুম ভালো হলে শরীরে রক্তপ্রবাহ শতকরা 7 ভাগ বেড়ে যায়। এর ফলে রক্ত শরীরের সব অংশেই পৌঁছে যায়। বিশেষজ্ঞরা মানুষের অনুভূতিতেও ঘুমের খুব ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করেছেন।